সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

মুহূর্তেই যমুনায় ৩০০ মিটার

লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

মুহূর্তেই যমুনায় ৩০০ মিটার

সিরাজগঞ্জ সদরের শাহজাহান মোড়ে গতকাল ভোরে যমুনা নদী এক মুহূর্তে গ্রাস করে নিয়েছে ৩০০ মিটার এলাকা। তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে এখানে। এ অবস্থায় আতঙ্কে নদীপাড়ের লোকজন ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছেন। জানা গেছে, নদীর প্রবলস্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ছোনগাছা পাঁচঠাকুরী  এলাকার এ জায়গাটি ভাঙনের মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কর্মকার জানান, গত বছর একই স্থানে ভেঙে গেলে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছিল। স্থায়ী মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও কাজ শুরু হয়নি। হঠাৎ গতকাল ভোরে যমুনা নদীর ঘূর্ণাবর্তের কারণে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিলে ৩০০ মিটারের বেশি জায়গা বিলীন হয়ে যায়। অবশ্য এ ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

 এদিকে ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়িঘর দোকানপাট অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে আশপাশের অর্ধশত বসতবাড়ি ও দোকানপাট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাশে নদী তীররক্ষা বাঁধের ওপরে নির্মিত রানীগ্রা-রতনকান্দি আঞ্চলিক সড়কটিও ভাঙনঝুঁঁকিতে পড়েছে। পাঁচঠাকুরী এলাকার আবদুুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভাঙন শুরু হলে জিনিসপত্র সরানোর সময় থাকে না। এর আগে ভাঙনে দোকান ও মালামালসহ সব বিলীন হয়ে গেছে। তাই এখন আতঙ্কে দ্রুত দোকান সরিয়ে নিচ্ছি।’ আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে কখন যে বসতভিটাসহ সব বিলীন হয়ে যাবে, বলা যাচ্ছে না। তাই দ্রুত ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোথায় যাব তা বলতে পারছি না। আপাতত অন্য জায়গায় সবকিছু স্তূপ করে রাখছি।’ পাঁচঠাকুরী এলাকার মুদি দোকানি আবদুল বাছেদ বলেন, ‘ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রশাসন এগুলো দেখেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী শফিকুল ইসলাম জানান, আকস্মিক ভাঙনে নদীপাড়ের অনেকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর