বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এসেছে অগ্রহায়ণ নেই নবান্নের ঘ্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

এসেছে অগ্রহায়ণ নেই নবান্নের ঘ্রাণ

আজ পয়লা অগ্রহায়ণ। ঋতুচক্রের পথ পরিক্রমায় হেমন্তকাল। এই দিনে নবান্নের ঘ্রাণে মাতাল হয়ে ওঠে কৃষকের অঙিনা। এ অঞ্চলে কৃষকদের ঘরে ঘরে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হেেয়ছে। গ্রামীণ জীবন থেকে নবান্ন উৎসব হারিয়ে যেতে বসেছে। বাজারে ধানের দাম ভালো এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারায় কৃষকরা বেজায় খুশি। তবে অনেক কৃষকের জীবনেই নবান্নের আনুষ্ঠানিকতা নেই। কৃষক ধান ঘরে তুলছেন ঠিকই। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ের যেসব আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হতো নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বুলবুল দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানালেন, ১০ বছর আগেও ধুমধাম করে পয়লা অগ্রহায়ণে তিনি নবান্ন পালন করতেন। নবান্নে তিনি আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধবকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেন। তিনি জানান, বাড়ির কর্তা হিসেবে তার বাবা দুই দিন আগে সকাল বেলা গোসল সেরে পবিত্র হয়ে বাম হাত দিয়ে এক মুঠি ধান কর্তন করে নবান্নের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতেন। বেশ কয়েক বছর থেকে তার বাড়িতে এসব অনুষ্ঠান অনুপস্থিত। রংপুর নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুস সাত্তারের ছেলে চাকরিজীবী তরুণ আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, আমি ছোটবেলায় দেখেছি, দাদা-দাদি, নানা-নানি, আত্মীয়-স্বজনরা মিলে নবান্ন উৎসব পালন করতেন। ধান ঘরে তোলার দিন মসজিদের ইমামকে ডেকে দোয়া পড়িয়ে  নবান্ন উৎসব শুরু করা হতো। সবাই মিলে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেতাম। এখন আর এসব নেই।

সর্বশেষ খবর