চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী বলেছেন, ‘চাঁদপুরে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। দলের অভ্যন্তরে বলয় সৃষ্টি করায় এখানে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কর্মকান্ডে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজ দল সম্পর্কে তিনি এই মন্তব্য করেন। আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে ২০২১ সালের ২ ও ৩ অক্টোবর চাঁদপুর স্টেডিয়ামে প্রতিনিধি সভা করা হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের কর্মীরা তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষোভের কথা তুলে ধরেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই আটটি উপজেলা ও একটি পৌর কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৬ সালে জেলা সম্মেলন হলেও কমিটি সম্পন্ন হয় ২০১৭ সালে। চাঁদপুর সদর, পৌর ও হাইমচর কমিটি ২০০৩ ও ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পরে সম্মেলনের জন্য তাগিদ দেওয়া হলেও সম্মেলন হচ্ছে না। আশা করছি জাতীয় সম্মেলনের আগেই তা সম্পন্ন করা হবে। আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর হাজীগঞ্জ ও শাহারাস্তী উপজেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন নিয়ে কেন্দ্রে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তৃণমূল পর্যায় থেকে সদস্য সংগ্রহ করে নতুন আঙ্গিকে কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের আগেই জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই জেলা নেতা বলেন, ‘অতি দ্রুত সম্মেলন হোক তা আমরা চাই। এতে দল গতিশীল ও শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রে মিটিং করে অনেক আলোচনা হয়েছে চাঁদপুর সদর, পৌর ও হাইমচর এই তিনটি উপজেলা কমিটির সম্মেলন করার জন্য।’ তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দল সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের পাঁচটি সংসদীয় আসনের এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, আট উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাত পৌরসভার মেয়র সবগুলোই নির্বাচনের মাধ্যমে দখলে রয়েছে।