বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ৪ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ নতুন তারিখ জানান। তিনি বলেন, কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১২ অক্টোবর গাইবান্ধার যে ভোটটি স্থগিত করা হয়েছিল, সেটি আগামী জানুয়ারির ৪ তারিখ বুধবার হবে। সেদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। আগের দিনের মতোই সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে এবং ঢাকা থেকে সরাসরি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি।

জাহাংগীর আলম বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা পরিবর্তন  করে দিয়েছে। কমিশনের ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এখন গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন আগের প্রার্থীরাই। ভোটের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় প্রার্থীরা এখন আবার প্রচারে নামতে পারবেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান নৌকা, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ লাঙ্গল, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম কুলা এবং স্বতন্ত্র নাহিদুজ্জামান আপেল ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া ২৩ জুলাই মারা গেলে তাঁর সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। ১৪৫ কেন্দ্রের ৯৫২ বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ১২ অক্টোবর এ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় পুরো আসনের এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন বন্ধের ঘটনা এটাই প্রথম। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনিয়মে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশের উপপরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে প্রার্থী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়মে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি।

সর্বশেষ খবর