বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশের সামনে থেকে নিয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার তিতাসে মাছের প্রজেক্টের মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পুলিশের সামনে থেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। জহিরুল ইসলাম  ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে। তিনি ঢাকার ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শনিরআখড়ায় বসবাস করতেন। তিনি ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করতেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, একটি মাছের প্রজেক্ট নিয়ে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল প্রজেক্টে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহরাবসহ অন্যরা মাছ ধরতে যায়। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান আহত হন। আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে জহির পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে এলে পুলিশের সামনে থেকে  তাকে ধরে নিয়ে যায় সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহরাবসহ অন্যরা। সোহরাব বাড়িতে জহিরকে নিয়ে গেট লাগিয়ে কুপিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে জহিরের মৃত্যু হয়। এদিকে জহিরের মৃত্যুর খবরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে তার স্বজনরা। নিহত জহিরের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের জায়গায় জোর করে মাছ ধরে নিয়ে গেলে জহির বাধা দেয়। এতে সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে। এ সময় আরও ছয়-সাতজন আহত হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও হত্যার বিচার চাই। সাইফুল ইসলাম মেম্বার বলেন, আমার পুকুরের মাছ জোর করে ধরে নিতে এলে আমার লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, মাছের প্রজেক্ট নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। একপক্ষ মাছ ধরতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।

সর্বশেষ খবর