বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

২ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ২ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ৫০৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া দেড় লাখ টন সার কেনার দরপ্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৮৫৩ কোটি টাকার বেশি। গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব  করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির জন্য সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৪ টাকা ৮৪ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সুং শিং এডিবল অয়েলের কাছ থেকে কেনা হবে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা ৯৫ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় প্রতি লিটার তেলের দাম ধরা হয় ১৫৬ টাকা ৯৮ পয়সা। ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় একজন কার্ডধারীর কাছে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি পিঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০, প্রতি কেজি চিনি ৫৫, ১ কেজি মসুর ডাল ৬৫ ও প্রতি কেজি পিঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এসব পণ্য কিনবে সরকার। এদিকে গতকালের সভায় আরব আমিরাত ও কানাডা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া ও এমওপি সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৮৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৮৯৯ টাকা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় এ সার কেনা হবে। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়য়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৯ টাকা। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৫ টাকা। পাশাপাশি সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৫ টাকা। সাঈদ মাহবুব খান জানান, সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল)-এর জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চীনের গুইঝো চানেন কেমিক্যাল করপোরেশন (স্থানীয় প্রতিনিধি বেস্ট ইস্টার্ন, ঢাকা) থেকে এ ফসফরিক অ্যাসিড নেওয়া হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৭৩ কোটি ৮৫ হাজার ৪০০ টাকা।

সর্বশেষ খবর