মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিবি পরিচয় দিলেই গাড়িতে উঠবেন না : হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিবি পরিচয় দিয়ে কেউ গাড়িতে তুলতে চাইলে না উঠে, বরং যাচাই করতে বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কেউ ডিবি বললেই তাদের গাড়িতে উঠবেন না, আগে যাচাই করবেন। আপনারা সচেতন হলেই অপ্রীতিকর সমস্যার সমাধান সম্ভব। গতকাল    দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হারুন বলেন, ডিবি নাম ব্যবহার করে অনেককেই তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে ভুয়া ডিবি পুলিশ কিনা তা যাচাই করবেন। প্রয়োজনে ৯৯৯-এ কল দিয়ে নিশ্চিত হবেন। যাদের গ্রেফতার করেছি তাদের রিমান্ডে আনছি। যাতে আর কারা কারা জড়িত তা শনাক্ত করা যায়। রবিবার ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। তারা হলেন- পীযূষ  সুর (২৭), হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ (২৮), আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি কালো রঙের নোয়া-মাইক্রোবাস, ১টি প্রাইভেটকার, ২টি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও ১টি হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশায় করে মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাওয়ার পথে একটি কালো রঙের নোয়া গাড়ি তার গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে বলে দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ওই ব্যক্তিকে শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ হয়ে ঢাকা মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়। ওই ভুক্তভোগী মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি ডিবির মতিঝিল বিভাগও ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় নোয়া গাড়িটি পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে জব্দ করা হয়। গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, চক্রটি প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা,  টাকা উত্তোলন করে বের হওয়া এবং মানি এক্সচেঞ্জের ব্যক্তিদের টার্গেট করে। সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে নির্জন স্থানে তাদের ফেলে যায়।

 

সর্বশেষ খবর