শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চপ্পল ছিল না এখন রোডমাস্টারে ঘুরে বেড়ায় : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একসময় যাদের পায়ে চপ্পল ছিল না তারা এখন রোডমাস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই আসে তখন গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায়। ৭৫-এর আগেও গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা        বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন   করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা। মির্জা ফখরুল বলেন, বিজয় কিবোর্ড রাখা মোবাইল ফোনে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, কারণ এর মালিক আবদুল জব্বার মন্ত্রী। একজন মন্ত্রীর কোম্পানি সরকারের লাভজনক প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়া এটা ভয়ংকর দুর্নীতি। পত্রিকায় দেখলাম লন্ডনে বেশি সংখ্যায় বাংলাদেশিরা বাড়ি কিনছেন। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাভোগী ও লুটেরা। যাদের চপ্পল ছিল না পায়ে তারা এখন রোডমাস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানীর শাহীনবাগে বিএনপি কর্মী সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসার সামনে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ঘিরে আলোচনায় আসা ‘মায়ের কান্না’ এরা কারা? ১৯৭৭ সালে বিমান বাহিনীতে অভ্যুত্থানের ঘটনায় সামরিক আদালতে বিচার হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীতে বিদ্রোহ হলে সামরিক আদালতে বিচার হওয়া এটা স্বাভাবিক। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল, তারা (মায়ের কান্না) কোথায় ছিলেন এতদিন? জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানোর জন্য এখন এসব কথা বলে লাভ হবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের মূল ইতিহাস বিকৃত করছে। গণতন্ত্র ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। গত ১২ বছরে আমাদের ৬০০ জন গুম করেছে। লক্ষাধিক মামলায় ৩৭ লাখের অধিক নেতা-কর্মী আসামি। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ আমরা কখনো বলিনি যে আমরা নির্বাচনে যাব না। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি আওয়ামী লীগের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে তারপর নির্বাচনে যাব।

সর্বশেষ খবর