শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৃত ও কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা পুলিশের মামলায় আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার দেওয়ানপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হক ছিলেন পেশায় পশু চিকিৎসক। ৮ বছর আগে তিনি মারা যান। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি কাটাখালী থানা পুলিশ সেই মোজাম্মেল হককে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ বাদী হয়ে করা ওই মামলায় আসামি ১২ জন। মোজাম্মেল হক ওই মামলার ৯ নম্বর আসামি। শুধু মৃত মোজাম্মেল হক নন, কারাগারে আটক থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। অবশ্য নগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। তাই বক্তব্যও নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমাজ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী এ বছরের ৫ জানুয়ারি বোয়ালিয়া থানার ২৭ নম্বর মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হন। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। ২৫ জানুয়ারি শাহ মখদুম থানায় দায়ের করা ১২ নম্বর মামলার ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে মোহাম্মদ আলীকে। ৮ জানুয়ারি বোয়ালিয়া থানার ওই মামলাতে গ্রেফতার হন সায়েম রমজান। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনিও রাজশাহী কারাগারে আটক ছিলেন। ২৫ জানুয়ারি কাশিয়াডাঙ্গা থানায় দায়ের করা ১৫ নম্বর মামলার ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে সায়েম রমজানকে। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন থানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানসহ ২৫০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ। নগরীর দামকুড়া থানায় হওয়া একটি মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১২টায় নগরীর দামকুড়া থানার শীতলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপি-জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশ দেখে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে লাল টেপ মোড়ানো দুই ইঞ্চি লম্বা একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য নিজেদের কাছে রাখার অভিযোগে ৭ ফেব্রুয়ারি দামকুড়া থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলার প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে, ওই দিন সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। একইভাবে ওই থানায় ২৫ জানুয়ারি, পবা থানায় ২৬ জানুয়ারি, শাহ মখদুম থানায় ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর