শিরোনাম
শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
এসব কী হচ্ছে ক্যাম্পাসে

সেই ভিডিও উধাও অডিও ফাঁসে ভিসির সহকারীকে অব্যাহতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার ১১ দিন পার হলেও সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় হল কর্তৃপক্ষের কাছে ফুটেজ চাইলেও তারা তা দিতে পারেনি। এদিকে অডিও ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের সহকারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে রাত ১১টা থেকে শেষ রাত ৩টা পর্যন্ত বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পরদিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী।

এ ঘটনার তদন্তে গত শুক্রবার রাতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাইলে শনিবার দেওয়ার কথা জানান। শনিবারে তারা ফুটেজ উদ্ধার করতে গেলে বিপাকে পড়েন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের দুই টেকনিশিয়ানকে হলে ডাকেন। তারাও ফুটেজ উদ্ধারে ব্যর্থ হন। তাদের ভাষ্য মতে, সিসিটিভি ফুটেজের সময় পরিবর্তন হয়েছে। মনিটরে ১৯৭০ সালের সময় দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরার মাদারবোর্ডের বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ায় এমনটি হয়েছে। হল সূত্রে জানা গেছে, হলটিতে প্রধান ফটক, অফিস, করিডোর, প্রাচীর, ডায়নিংসহ ১২টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চুরি ও ককটেল ফোটানোর ঘটনার পরও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পেলে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক হতো।’

আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ‘ক্যামেরার মাদারবোর্ডের বায়োসের ব্যাটারির মাধ্যমে সিসি ফুটেজে তারিখ ও সময় ঠিক রাখে। সেটি নষ্ট থাকায় ইনিশিয়াল ডেটে চলে গেছে। আমার ধারণা- ফুটেজ পাওয়া যাবে না। তবে এক্সপার্ট এনে চেষ্টা করা যেতে পারে।’

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ফুটেজ হার্ডডিস্কে সংরক্ষিত আছে। ওটা ঢাকাতে পাঠাতে হবে জানতে পেরেছি।

তদন্ত পর্যালোচনা করল কমিটি : বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটি তদন্ত পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছে। কমিটির আহ্বায়ক গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ কক্ষে তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে পর্যালোচনায় বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম ও সদস্যসচিব একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবর্দী খান।

এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং একজন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে কথোপকথনের বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএসকে) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর ইবির তিনটি বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর