মধ্যরাতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর-সাহারপাড়া ইউনিয়নের ঈশানকোনা গ্রামে চাচা-ভাতিজার বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জামাল মিয়া (৩৮) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকাল ভোররাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় সাহারপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঈশানকোনা গ্রামের ভাতিজা জামালের সঙ্গে চাচা হোসাইনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে রাত ১২টার দিকে ঈশানকোনা গ্রামে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় চাচা হোসাইন মিয়ার লোকজনের হাতে ভাতিজা জামাল মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জান্নাত বলেন, ঈশানকোনা গ্রামের সংঘর্ষে সৈয়দ দেওয়ান (৪৫), সৈয়দ শেরু মিয়া (৩০), সৈয়দ আনহান মিয়া (৭০), সৈয়দ আমিন মিয়া (৬০), সৈয়দ সফুর আহমেদ (২৯), সৈয়দ হোসাইন মিয়া (৩০), সৈয়দা পারুল বেগম (৬০) আহত হন। আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গ্রামে চাচা-ভাতিজার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জামাল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।