বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিলেট

ফাঁকা মাঠেও ঘাম ঝরাচ্ছেন আনোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের গত দুবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় হয়েছিল। সেই পরাজয়ের ক্ষত শুকাতে ‘অ্যাসিড টেস্টে’ মনোনয়ন বাগিয়েছেন দলটির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। দলীয় সিদ্ধান্তের গ্যাড়াকলে পড়ে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে আনোয়ারুজ্জামানের জন্য নির্বাচনী মাঠ প্রায় ফাঁকা। তবে ফাঁকা মাঠকেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না তিনি। প্রচারণায় ঘাম ঝরাচ্ছেন আনোয়ার। দলে ঐক্য তৈরির পাশাপাশি ভোটারদের সমর্থন আদায়ে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মী ও পাড়া-মহল্লায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সিলেট সিটির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ২১ জুন। প্রায় দুই মাস আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন পেয়েই মাঠে নামেন তিনি। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাকে চারটি জোনে ভাগ করে প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। এসব জোনের প্রধান করা হয়েছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। প্রয়াত মেয়র কামরানের হারানো আসন ফিরে পেতে অনেকটা আদাজল খেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন তারা।

বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। গতকাল পর্যন্ত মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা পাঁচ প্রার্থীর তালিকায় নেই আরিফ। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারেন ২০ মে। এদিকে, সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক, বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. নজরুল ইসলাম বাবুলকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে জাপা। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি সিলেট ফিরে শুরু করেছেন দল গোছানোর কাজ। মঙ্গলবার তার সমর্থনে সভা করেছে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি। সভায় মেয়র পদে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার আহ্বান জানানো হয়। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৫১ সদস্যের একটি কমিটি ও ৪২টি ওয়ার্ডকে ছয়টি ভাগে বিভক্ত করে ছয়টি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল বাবুলের সমর্থনে মহানগর যুবসংহতির উদ্যোগে কর্মিসভা হয়েছে। মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের কাছেই তাকে বেশি প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান খান ও সামছুন নুর তালুকদারের কোনো প্রচারণা চোখে পড়েনি।

সর্বশেষ খবর