সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীতে নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার

আরও তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজগাঁও থেকে জুলেখা বেগম (৩৭) নামে এক নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার তেজকুনিপাড়ার জামান টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীর রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এদিকে, ওইদিনই সবুজবাগে প্রবাসী স্বামীকে মুঠোফোনে লাইভে রেখে অভিমানী স্ত্রী নূপুর খাতুন (২৩) আত্মহত্যা করেন। এ ছাড়া গতকাল যাত্রাবাড়ীতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় মই থেকে পড়ে মো. মাইনুল ইসলাম (৩০) এবং কামরাঙ্গীরচরে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় খেলনা তৈরির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফাহিম হাওলাদারের (২১) মৃত্যু হয়েছে।

তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, শনিবার রাতে জুলেখার লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, করোনা শুরুর সময় থেকে জলিল নামে এক রিকশাচালকের সঙ্গে জুলেখার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনেই বিবাহিত। তাদের আলাদা সংসার আছে। জুলেখার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ। সে বাসা বাড়িতে কাজ করত। শনিবার রাতে জামান টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মী সিরাজের রুমে জুলেখা ও জলিল প্রবেশ করে। একপর্যায়ে জুলেখাকে গলা কেটে পালিয়ে যায় জলিল। হত্যাকান্ডের আগে রাতে জুলেখা, নিরাপত্তাকর্মী সিরাজ ও জলিল কারওয়ান বাজার ঘোরাঘুরি করেন। নিরাপত্তাকর্মী সিরাজ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। জলিলকে ধরতে অভিযান চলছে। এদিকে, সবুজবাগ থানার এসআই আজমিন নাহার কিরণ জানান, শনিবার রাতে সবুজবাগে প্রবাসী স্বামীকে মুঠোফোনে লাইভে রেখে অভিমান করে নূপুর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। ১৫৮ ওহাব কলোনীর একটি বাড়ির নিচতলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁছানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী থাইল্যান্ড প্রবাসী তিতাস চৌধুরী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য লোকের সঙ্গে অভিমান করে স্বামীকে লাইভে রেখে সে আত্মহত্যা করেছেন। চলতি বছরের ১৮ মে তার স্বামী থাইল্যান্ড চলে যান। তিন দিন ধরে ওই বাসায় একাই ছিলেন নূপুর। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার দত্তডাংগায়। গতকাল দুপুরে যাত্রাবাড়ীর সামাদ নগরে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় মই থেকে পড়ে মাইনুলের মৃত্যু হয়। তার সহকর্মী আলিম বলেন, আমরা যাত্রাবাড়ীর ওই বাসার দেয়ালে মই লাগিয়ে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় মই ভেঙে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন মাইনুল। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। সে শনির আখড়ায় থাকত। এ ছাড়া গতকাল দুপুরে কামরাঙ্গীরচরে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় খেলনা তৈরির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফাহিমের মৃত্যু হয়। তার সহকর্মী আবদুল কাদের জানান, তারা কলেজ রোড এলাকায় একটি প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় কাজ করার সময় ফাহিম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর