সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার অভিযোগে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। শোকজ পাওয়ার পর প্রচারণা চালাননি বাবুল। তবে নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানও প্রচারণা চালাচ্ছেন। সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ আগামীকাল শুক্রবার। প্রতীক বরাদ্দের আগে সব ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছিলেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম বাবুলকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার অভিযোগে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বাবুল শোকজের জবাব দিতে নির্বাচন অফিসে যান। নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, নির্বাচন কমিশনের শোকজের জবাব দিতে তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের শোকজের পর কোনো প্রচারণা চালাননি দাবি করেন নজরুল ইসলাম বাবুল। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন, তিনি প্রচারণা না চালালেও আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেটের ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় ও তাদের খামে ভরে টাকা দেওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি। বাবুল বলেন, এভাবে চললে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। নির্বাচন কমিশনের উচিত সবার জন্য সমান আচরণ করা।

এদিকে বাবুল প্রচারণা বন্ধ রাখলেও গতকাল দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। দুপুরে ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। ওই সভায় আরও ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কে এ কিবরিয়া চৌধুরী, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলীসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা। সভায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলোর ঐক্যকে গুরুত্ব দেয়। সিলেটে আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি ঐক্যবদ্ধ। আমরা মনে করি ১৪ দলের সমর্থন আমাদের ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করবে। সভায় ১৪ দলের পক্ষ থেকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সমর্থন দেওয়া হয়। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান গতকাল নগরীর ৩২ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।