শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভাঙ্গায় আড়াই ঘণ্টার সংঘর্ষে আহত ৪০, বাড়িঘর ভাঙচুর

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ভাঙচুরে ৪০ জন আহত হয়েছেন। পেট্রলবোমায় একজন অগ্নিদগ্ধ। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পেট্রলবোমায় দগ্ধ তৌহিদুল ইসলাম (৩৫),  সুড়কি ও রামদার কোপে গুরুতর আহত সরোয়ার শেখ (৭৮), মান্নান মোল্লা (৪৭) ও বাহাদুর শেখ (২৫), কোটন শেখ (৫০) নামে পাঁচজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ এবং পাঁচটি বাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এলাকায় গতকালও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাধরদী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মতিয়ার রহমান (৬৪) ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন কোটন শেখ (৫০)। এ দুই পক্ষের মধ্যে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত কয়েক দিন এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এক পক্ষের নেতা মতিয়ার রহমান গ্রামের সড়ক দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারপিট করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের শত শত লোক ঢাল, সড়কি, রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তৌহিদুল ইসলামের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। কোটন শেখ বলেন, মতিয়ারের লোকজন আমার বাড়িসহ পক্ষের পাঁচজনের বাড়ি ও এক ব্যক্তির দোকান ভাঙচুর করেছে। আমার পক্ষের কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে।

অপরদিকে মতিয়ার রহমানের ভাই লুতফর রহমান বলেন, কোটন ও তার ছেলে দুর্ধর্ষ। আমার বড় ভাই মতিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে কোটন ও তার ছেলে আমার বড় ভাইকে মারপিট করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে আমার লোকেরা প্রতিবাদ করতে এলে তাদের ওপর তার পেট্রলবোমা মারে। আমাদের সমর্থক তৌহিদুল ইসলাম দগ্ধ হয়েছে।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী আক্তার হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির শরীরের নিচের অংশ পুড়ে গেছে। ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক মো. জুয়েল হোসেন গতকাল দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভাঙ্গার একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, গত চার মাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট বেড়েছে এখানে।

সর্বশেষ খবর