চট্টগ্রাম মহানগরের নিউমার্কেট থেকে ফলমন্ডি পর্যন্ত পুনর্দখল ঠেকাতে এবং অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ-পরবর্তী মনিটরিং কার্যক্রমের সময় পুলিশের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। গতকাল নগরের কোতোয়ালি থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দফতরের পেশকার মো. আবু জাফর চৌধুরী। মামলার আসামি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাহীন আহমদ, সদস্য নূর মোহাম্মদ; চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সাবেক সভাপতি ঋষি বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি; চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু, সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক হায়দার, সোহেলসহ অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ জন।
তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৯-এর ৪/৫ ধারায় মামলা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, সোমবার চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি চসিক নগরের আমতল থেকে ফলমন্ডি পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১ হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ করে। সোমবার বিকালে চসিকের পক্ষ থেকে উচ্ছেদকৃত স্থান ফের দখল ঠেকাতে তদারকিতে যান চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, শাহরিন ফেরদৌসী, মো. সাব্বির রহমান সানি ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন পুলিশ ও চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের চারজন কর্মী আহত হন। অভিযানে ব্যবহৃত দুটি ডাম্প ট্রাক, একটি পিকআপ ও চসিকের বিদ্যুৎ উপবিভাগের এরিয়াল লিফট ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
