সরকারের মন্ত্রী এমপিরা এখন কোথায়। কেউ জানে না তাদের অবস্থান। বিদেশে চলে গেছেন নাকি দেশের মধ্যেই আছেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল দিনভর উত্তাল ঘটনার মধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো উপস্থিতি ছিল না গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও। খবর পাওয়া যাচ্ছে না আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরও। আগের দিন সক্রিয় থাকলেও গতকাল কোনো মন্ত্রী-এমপিকে দেখা যায়নি কোথাও। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকেও দেখা যায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন কারও গণমাধ্যমে উপস্থিতি ছিল না।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন আন্দোলনের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। প্রতিদিন নানা বক্তব্য দিয়ে দেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। তবে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী এবং এমপিদের অনেকে দেশ ত্যাগ করেছেন বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে। নিরাপত্তার খাতিরে অনেকে লুকিয়ে আছেন। এখন তারা কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর কোনো মন্ত্রী-এমপির খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বেশ কয়েকজন মন্ত্রিসভার সদস্যকে ফোনেও পাওয়া যায়নি। তাদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী সামরিক হেলিকপ্টারে তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন। তবে, তার সঙ্গে কোনো মন্ত্রী কিংবা এমপি ছিলেন না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ছাত্রদের কোটা আন্দোলন ও দেশের পরিস্থিতি সহিংস হওয়ার মধ্যেই অনেক মন্ত্রী-এমপি দেশ ছেড়েছিলেন। ১৪ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি নাজুক দেখে বিদেশ থেকে ফ্লাইটের টিকিট কেটে ঢাকা ছাড়েন অনেক প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী। তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও দুবাই পাড়ি জমান।