ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার একটি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহ ওরফে জাম্বু (১৫) নামে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার বাবাসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল ভোর ৪টার সময় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের কান্তি ভিটা সীমান্তের মেইন পিলালের কাছে এ ঘটনা ঘটে। জয়ন্ত কুমার সিংহ ওরফে জাম্বু বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকিরভিঠা বেলপুকুর গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে। আহতরা হলেন বাবা মহাদেব কুমার সিংহ (৪৫) এবং বালিয়াডাঙ্গীর নিটলডোবা গ্রামের বাংঠু মোহাম্মদের ছেলে দরবার আলী (২৮)। আহতরা রংপুরের অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গতকাল ভোরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তে চোরাকারবারি চক্রের দালাল মিস্টার, দুলাল এবং কাজির উদ্দীনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি দল উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের কান্তি ভিটা সীমান্তের মেইন পিলারের পাশ দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় তারা ভারতের ১০০ গজ অভ্যন্তরে দিঘলবস্তি নামক স্থানে পৌঁছলে ভারতীয় ডিংগাপাড়া ১৫২ বিএসএফ ক্যাম্পের জোয়ানরা কয়েক রাউন্ড গুলি করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জয়ন্ত এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে আসে জয়ন্তর বাবা মহাদেব ও দরবার আলী। চোরাকারবারি চক্রের দালালরাসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জয়ন্তর লাশ ডিংগাপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ জোয়ানরা। বিএসএফের গুলিতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, কী কারণে তারা সীমান্তে গিয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতের লাশ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ সোমবার বিকালে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা বিওপি এবং ভারতীয় ডিংগাপাড়া ১৫২ বিএসএফের মধ্যে লাশ হস্তান্তর বিষয়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজির আহমদ এবং ৫০ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এবং তাদের পক্ষ থেকে কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি।