ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মামলা কেন্দ্র করে শ্যালক ও দুলাভাইয়ের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মাছিহাতা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আহতরা চিকিৎসা নিতে এলে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন আনোয়ার (৫০), রাহিম (১৮), দ্বীন ইসলাম (২৪), শাকিল (২২), ময়না (৪০), ইসমাইল (১৫), মনির (৪৪), ইয়াসিন (২১) ও মনসুর (৩৫)।
পুলিশ ও হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, গজারিয়া গ্রামের আনোয়ারের ছেলে দ্বীন ইসলামের স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আখাউড়া আমলি আদালতে একটি যৌতুকের দাবি মামলা করেন। এ মামলায় মৃত শহীদ ভূইয়ার ছেলে মনির ও মনসুরকে আসামি করা হয়। মনির আনোয়ারের বোনজামাই হওয়া সত্ত্বেও কেন মামলার বিষয়টি তার কাছে গোপন রাখেন তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন। রাতে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই পক্ষের লোকজন আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পরে সদর মডেল থানা পুলিশ এসে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, চিকিৎসা নিতে আসা দুই পক্ষের লোকেরাই জরুরি বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আমিসহ হাসপাতালের রোগী ও স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে। সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে গজারিয়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। আহতরা চিকিৎসা নিতে সদর হাসপতালে এসে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ পেলে ও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।