বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদার নামে এক ব্যক্তিকে (৩১) গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তৌফিক-ই-এলাহীকে রিমান্ডে নেওয়া মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ রিমান্ডে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ দিন রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় ফরহাদ হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্লাহ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিকালে হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন ফরহাদ হোসেন। এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব।