কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বেত গাছ। এক সময় নীলফামারীর গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের পতিত জমিতে ছিল বিশাল বিশাল জঙ্গল। গ্রাম বাংলার আনাচেকানাচে ঝোঁপঝাড়ে অযত্ন-অবহেলায় এক সময় বেড়ে উঠত এই গাছ। সাধারণত গ্রামের রাস্তার পাশে, বসতবাড়ির পেছনে, পতিত জমিতে ও বনে কিছুটা আর্দ্র জায়গায় বেত গাছ জন্মাত।
বেত কাঁটাযুক্ত চিরসবুজ। কান্ড লম্বা ও শাখাহীন। প্রতিটি কান্ডের আগা থেকে নতুন পাতা বের হয় ও বেড়ে ওঠে। কান্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর নিচের অংশ পোক্ত হতে থাকে।
ডোমার বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, বেত অতি মূল্যবান ও অর্থকরী উদ্ভিদ। উন্নতমানের হ্যান্ডিক্রাফট, গৃহের আসবাবপত্র তৈরির জন্য বেতের ব্যবহার বেশি হতো। এক সময় বেতের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র গ্রামীণ হাটবাজারের পাশাপাশি শহরেও বিক্রি হতো। তবে দিন দিন এর ব্যবহার কমছে।
নীলফামারীর পলাশবাড়ি কলেজের প্রভাষক জাফর সাদেক বলেন, মূলত আগে গ্রামের মানুষের ব্যবহারের জন্য চাল ও ধান পরিমাপের টালা, পাল্লা, ঝুড়ি, ঝাঁকা বা ধামা, টুকরি, শীতল পাটি, হাতপাখা, হাতের লাঠিসহ বেতের চেয়ার, সোফা, দোলনা, ফুলদানি তৈরি হতো। প্রতিটি বাড়িতে ওইসব পণ্যের প্রচুর চাহিদা ছিল। তবে ধীরে ধীরে এখন এসব পণ্যের কদর কমে গেছে।