পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফের ‘ডাক’ মেরেছেন সাকিব আল হাসান। এদিন দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সাকিবের দল লাহোর কালান্দার্স। ব্যাটিং লাইনআপের আট নম্বরে ও লাহোরের ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব।
ইসলামাবাদের পেসার তাইমাল মিলসের প্রথম বলে (ওভারের তৃতীয় বল) ব্যাট স্পর্শ করাতে পারেননি সাকিব। পরের বলেই আকাশে বল তুলে মিড অফে মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে ক্যাচ হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এর আগে লাহোরের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০) মেরেছিলেন সাকিব।
সাকিব তার নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও জয় পেয়েছে তার দল। ২০৩ রানের বড় টার্গেটে নেমে ১০৭ রানে থামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরার হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২০২ রান করে লাহোর। রিশাদ ২ বল খেলে ৫ রানে দলীয় স্কোর দুইশ পার করেন।
লক্ষ্যে নেমে সালমানের বলে পাওয়ার প্লেতেই ৩৩ রানে চার উইকেট হারায় ইসলামাবাদ। সাকিব সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়ে ৯ রান দেন। পরের ওভারে রিশাদও খরুচে ছিলেন, দেন ১৪ রান। ইসলামাবাদকে প্রতিরোধ গড়ে দেওয়া সালমান আগাকে দশম ওভারে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন তিনি। তারপর ১২তম ওভারে বল হাতে নিয়ে অধিনায়ক শাদাব খানকে (২৬) ফেরান। তিন বল পর জেমস নিশামকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান রিশাদ। শাদাব ও সালমান কেবল দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
৯৫ রানে সাত উইকেট হারানো ইসলামাবাদ অসহায় আত্মসমর্পণ করে। তারপর নাসিম শাহ ও টাইমাল মিলসকে ফিরিয়ে বড় জয়ের সুবাস পেতে থাকে লাহোর। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে শাহীন আফ্রিদি হায়দার আলীকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।
সালমান, রিশাদ ও শাহীন সমান তিনটি করে উইকেট নেন। রিশাদ তিন ওভারে ৩৪ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন। সাকিব তিন ওভারে ২৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম