বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. হাসিবুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ডাকসু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্যাম্পাসে অপরাজনীতি ও লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতির কবর রচনা হবে। তাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন চাই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসিবুল ইসলাম বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে ডাকসুর নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা ক্যাম্পাসগুলোতে যে অপরাজনীতি এবং লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি দেখেছি সেটির কবর রচনা করতে ডাকসুর নেতৃত্ব জরুরি। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন হলে লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি ও রাজনীতির অপপ্রয়োগ বন্ধ হবে বলে আমরা আশাকরি। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচন হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের বেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। একটি কুচক্রী মহল বারবারই সেটির চেষ্টা করে। সে জায়গায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি যদি নির্বাচন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম এবং রাজপথের লড়াই সেটি আরও বেগবান হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ডাকসুর নেতারা ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা আশাবাদী। কেননা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নির্বাচন হয় সে দলের প্রসিকিউশনে কিন্তু ডাকসুতে যেসব প্রতিনিধি নির্বাচন হবে তারা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হবেন। ফলে তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য। হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন সম্প্রীতি ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে হবে, যেখানে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ থাকবে। শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন এবং প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধিকে বিজয়ী করবেন।