রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় বিএনপির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে সিপিবি, বাসদ ও গণধিকার পরিষদ। গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দলগুলো আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা সম্পন্ন করেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন বলে মনে করেন চার দলের শীর্ষনেতারা। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না পেলে রাজপথে নামার বিষয়েও একমত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। দুই দফা বৈঠকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বর্তমান সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন অংশ নেন। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব। আওয়ামী লীগের বিচার করবে বিচার বিভাগ, উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই, ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে তা জানতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে বিজয়ের মাসে গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন করতে চায় দেশের জনগণ। তিনি বলেন, এ সরকারে দুই ছাত্র উপদেষ্টা আছেন, তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা আমাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক। বিএনপির চায়ের দাওয়াতে আমরা অংশ নিয়েছি। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনীতিতে একটি ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে আমরা বৈঠক করে আগামী ডিসেম্বরে ভোট করা নিয়ে একমত হয়েছি। কারণ নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা যাওয়া দরকার। এজন্য সুনির্দিষ্ট একটি ডেডলাইন হওয়া দরকার। ভালো নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার হওয়া প্রয়োজন সেটা করা উচিত বলে মনে করি।