নড়াইলে মোগল আমলের নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম শাহ দেওয়ান ফয়জুল্লাহ (রহ.) নামে নারী ও পুরুষের জন্য নির্মিত পৃথক দুটি মসজিদ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নড়াইল-লোহাগড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে প্রায় ১৮০ মিটার উত্তরে এ মসজিদ দুটি ১৮ শতাব্দীর শুরুর দিকে নির্মিত। ইতিহাসবিদদের মতে এ মসজিদের বয়স ৩০০ বছরের বেশি। স্থাপত্যরীতিতে মোগল ভাবধারার ছাপ স্পষ্ট। মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হজরত শাহ দেওয়ান ফয়জুল্লাহ (রহ.) মতান্তরে ফজু দেওয়ান ছিলেন নবাব মুর্শিদকুলি খানের সুবাদারের অধীন একজন দেওয়ান। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টীয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে কোনো একসময় এ সুফি রাজকর্ম ত্যাগ করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রামপুরা গ্রামে ধর্মীয় সাধনায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি এ এলাকায় একাধিক মসজিদ নির্মাণ ও দিঘি খনন করেন। বর্তমানে রামপুরা গ্রামে শাহ দেওয়ানের (রহ.) নারী ও পুরুষের জন্য নির্মিত পৃথক দুটি ছোট আকারের মসজিদ, মাজার, একটি পুকুর ও একটি দিঘি কালের সাক্ষী হিসেবে টিকে আছে। এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদের মধ্যে একটি পুরুষের জন্য ও অন্যটি মহিলাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। শাহ দেওয়ান ফয়জুল্লাহ (রহ.) তাঁর অর্জিত সব অর্থই ধর্মীয় কাজে ব্যয় করতেন। পুরুষের জন্য নির্মিত মসজিদটির দক্ষিণ পাশে শাহ দেওয়ান ফয়জুল্লাহ (রহ.) ও তাঁর মায়ের মাজার অবস্থিত। মসজিদটি বর্গাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত। এর দৈর্ঘ্য ৪.৪৭ মিটার। ৬৫ সেমি পুরু দেয়ালগুলোর ওপর তৈরি এ মসজিদটি এখনো শক্তসমর্থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র প্রবেশপথটি রয়েছে পূর্ব দেয়ালে। মসজিদটির অভ্যন্তরে পশ্চিম দেয়ালে একটি মিহরাব রয়েছে। মিহরাবটি আকারে ছোট ও অর্ধবৃত্তাকার। মসজিদটির ওপরে অলংকৃত ফিনিয়ালসহ গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজটির নিচের অংশের কর্ণাভরণে জ্যামিতিক নকশার অলংকরণ রয়েছে। মহিলাদের জন্য নির্মিত মসজিদটি পুরুষের মসজিদ থেকে প্রায় ৩০ মিটার দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। বর্গাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত এ মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২.৯৫ মিটার। এটির দেয়াল ৫৮ সেমি পুরু। মসজিদটির উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে অর্ধবৃত্তাকার খিলানের জানালা রয়েছে। একমাত্র প্রবেশপথটি রয়েছে পূর্ব দেয়ালে। ধর্মীয় অনুভূতি, প্রাচীন ঐতিহ্য ও সুনিপুণ স্থাপত্যশৈলীমি ত মসজিদ দুটি বর্তমানে জেলার অন্যতম নিদর্শন। পুনরায় সংস্কার করে মসজিদ দুটি চালুর দাবি এলাকাবাসীর। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ জানান, ‘মসজিদ দুটি জেলার অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
শিরোনাম
- কর্নেল ইভাল হত্যা: রুশ গুপ্তচরদের হত্যা করল ইউক্রেন
- শেষ মুহূর্তের গোলে নেপালকে হারাল বাংলাদেশ
- ঝিনাইগাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর
- সংস্কার কমিশন মানুষের মনের ভাষা বুঝবে না : আমীর খসরু
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গ্রেফতার
- সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
- লিটন-শামীমের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ
- ৯ টাকার ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রি, জরিমানা ৫০ হাজার
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা
- সারাদেশে বিশেষ পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ১৫৬৮
- ত্রিদেশীয় সিরিজ: ফিন অ্যালেনের চোটে কপাল খুলল কনওয়ের
- শিরোনামহীনের নতুন গান ‘কতদূর’
- নেপালের বিপক্ষে ২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে বাংলাদেশ
- যশোরে ১১ স্বর্ণের বারসহ আটক ৩
- ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে রাতে মুখোমুখি পিএসজি-চেলসি
- কর্মস্থলে অনুপস্থিত আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
- এক ওভারে ৬ ছক্কা! রেকর্ড তালিকায় বুলগেরিয়ার মানান বশির
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের টিকিটের মূল্য তালিকা প্রকাশ
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- সাবেক এমপি ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মোগল আমলের মসজিদ
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর