সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা আজ প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকাসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি হতে পারে বলে তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের ১৮ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা। এমন পরিস্থিতিতে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল সকাল থেকে বাগেরহাট, মোংলাসহ সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলজুড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তবে আপাতত তেমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘শক্তি’।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. হারুন উর রশিদ জানান, সঞ্চালনশীল মেঘমালা থেকে সাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পরই বাগেরহাটসহ সুন্দরবন উপকূলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, আবহাওয়া বিভাগ মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সংকেত জারি করলেও অনুকূলে পরিবেশ বিরাজ করায় বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত সব জাহাজে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।