সরকারিভাবে কোনো ধরনের শপথ না হলেও ‘মেয়র’ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ভূমিকা নিতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। নাগরিক সেবা সংস্থাটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন তিনি। গতকাল নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে সভাটি হয়। সভামঞ্চের ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের আগে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা ছিল। পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে যোগ দেন। কয়েকজন কর্মকর্তা ইশরাক হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও ক্রেস্ট দেন।
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে গতকাল আবার নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন তাঁর সমর্থকরা। বেলা ১১টার পর নগর ভবনে আসেন ইশরাক। সংক্ষিপ্ত সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই বলে আসছি, আমার এ বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিকভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাকে বা বিএনপির প্রার্থীকে এখানে (মেয়র পদে) বসতে দেওয়া হবে না। তাদের পছন্দসই প্রশাসক বসাবে। সেই প্রশাসকের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অবৈধ সুযোগসুবিধা নেবে।’
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেবাকার্যক্রমের অচলাবস্থা কাটাতে নিজের তত্ত্বাবধানে ডিএসসিসির কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক। আদালতের রায় মেনে মেয়র পদে শপথ গ্রহণের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান তিনি।
ইশরাক বলেন, ‘আমরা গতকাল (রবিবার) বিরতিহীন অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু নাগরিক সেবার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। মশক নিধন কর্মসূচি বেগবান করার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ৭০টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। তাদের আমরা উৎসাহ দিয়েছি। তাদের নিশ্চিত করেছি ভবিষ্যতে তাদের সমস্যাগুলো আমরা দেখব। কাল (আজ) আমাদের ৭০টির বেশি ওয়ার্ড সচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। দৈনন্দিনের সেবাকার্যক্রম চলবে, আমাদের আন্দোলনও চলমান থাকবে। এ ছাড়া বুধবার (কাল) স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব; যাতে ডেঙ্গুর বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা মনিটরিং টিম করব।’