কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া তাহমিদ জাফরিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় সুমাইয়ার কী ধরনের ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব জানান।
এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় করা মামলায় মেজর সাদিকুলের স্ত্রী ও অপারেশন ঢাকা ব্লকেডের সক্রিয় এডমিন সদস্য সুমাইয়া জাফরিনসহ দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামি হলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও অপারেশন ঢাকা ব্লকেডের ম্যানেজমেন্ট সদস্য আদনান বিন আবদুল্লাহ চৌধুরী।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতে হাজির করে সুমাইয়াকে সাত দিন এবং আদনানকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে সুমাইয়ার পাঁচ ও আদনানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। জাফরিন শুনানির সময় আদালতকে বলেন, ‘কেবি কনভেনশন হল এএসপি পরিচয়ে অন্য কেউ ভাড়া করেছে। কিন্তু আমার নামে দোষ চাপানো হচ্ছে। সেখানে আগে থেকে সবকিছু অ্যারেঞ্জড করা ছিল। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ওখানে গিয়েছিলাম। ওখানে কী হচ্ছে সে সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। আমাকে রিমান্ড দিয়েন না স্যার। যা জানতে চান সব বলব। আমি কোনো অন্যায় কাজ করিনি।
গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় ম ল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ওই দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।