ছয় বাংলাদেশি, ৪১ ভারতীয়, আট পাকিস্তানি, ২ হাজার ৬২৪ আমেরিকানসহ ৫৮ দেশের ২ হাজার ৯৯৬ নিহতের তালিকায় যুক্ত হলো আরও তিনজনের নাম। এ নিয়ে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল আত্মঘাতী ১৯ সন্ত্রাসীসহ ২ হাজার ৯৯৯।
দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ-পরীক্ষার ধারাবাহিকতায় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ওই হামলার ২৪ বছর পর ৭ আগস্ট নিউইয়র্কের মেডিকেল এক্সামিনার অফিস জানায় এ তথ্য। এরা তিনজনই আমেরিকান এবং এদের দুজন মহিলা। শনাক্ত হওয়া তিনজনের একজন লং আইল্যান্ডের রায়ান ফিটজারেল্ড (২৬), তিনি ছিলেন ফিডুসিয়ারি ট্রাস্টের ফরেন কারেন্সি ব্যবসায়ী। আরেকজন পাম স্প্রিংয়ের বারবারা কিটিং (৭২) ছিলেন ছিনতাইকৃত বিমান আমেরিকান এয়ারলাইনসের যাত্রী। অন্যজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। মেডিকেল এক্সামিনার অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, ১ হাজার ১০০ ভিকটিমকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁদের দেহাবশেষ নিয়ে ডিএনএ টেস্ট ছাড়াও নানান পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা দীর্ঘ দুই যুগ পরও লাঘব হয়নি। সেই দুঃসহ বেদনা লাঘবে সক্ষম হব অবশিষ্ট দেহাবশেষ শনাক্তের পর।’