ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আদিবাসীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্যটির সরকার। আসামের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এ ঘোষণায় রাজ্যের মুসলিমদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। এর আগে হিমন্ত বিশ্বশর্মা সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘অসমীয়া ভাষাভাষী জনগণ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এমনকি নিজেদের গ্রামেও হামলার হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন।’ এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা একটি ওয়েবসাইট চালুর ঘোষণা দেন। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাজ্যের যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী নিজেদের জীবনের জন্য হুমকি অনুভব করছেন এবং সংবেদনশীল এলাকায় বসবাস করছেন, তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভারতে সাধারণত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠোর। কিন্তু রাজ্যজুড়ে হঠাৎ করে সবার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স উন্মুক্ত করে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এ উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীদলীয় নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা গৌরব গগৈ বলেন, রাজ্য সরকারের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার এ উদ্যোগে গ্যাং সহিংসতা ও ব্যক্তিগত প্রতিশোধমূলক অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। এটি সুশাসন নয় বরং আইনহীনতার দিকে এক বিপজ্জনক পশ্চাৎগামী পদক্ষেপ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বলা হচ্ছে, অসমীয়া ভাষাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে সমর্থন দিতে বিশ্বশর্মার বিজেপি সরকার যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে, অস্ত্রের লাইসেন্স উন্মুক্ত করে দেওয়ার এ উদ্যোগ তারই অংশ।