জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ূম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও তার পক্ষে মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিতে এজলাসেই দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। আদালত এই আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেছেন। আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের পক্ষে মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন জানানো হয়। তার জামিনও চাওয়া হয়।
বিকাল ৩টার দিকে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করতে আদালতে হাজির হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মোহসীন রশিদ, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ আইনজীবীরা। এজলাস কক্ষে আগে থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় নিতে বলেছেন। তখন খায়রুল হকের পক্ষে আইনজীবী মোহসিন রশিদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, আপনি আদালতকে এভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে খায়রুল হকের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও হইচই শুরু হয়। ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। আদালত বারবার উভয়পক্ষের আইনজীবীদের থামানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন। এজলাস থেকে বেরিয়ে আইনজীবী এম কে রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে চলতি বছরের ৬ জুলাই। খায়রুল হক সাহেবের তো এখানে কিছু নেই। তিনি তখন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। উনাকে ৪৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদৌ কোনো এভিডেন্স নেই। আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, আমাদের আবেদন ছিল মামলা বাতিল চেয়ে।.... আইনজীবী বন্ধুরা কোর্টের ভিতরে একজন আরেকজনের ওপর আক্রমণাত্মক হবে এটা তো আদালতের ভাষা নয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ বলেন, আমাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল এক সপ্তাহ সময় নেওয়ার জন্য। আমরা কোর্টের কাছে আবেদন করেছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের জন্য সময় চেয়েছিলাম। উনারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের কথা শুনতে চাচ্ছিলেন না। জোর করে সাবমিশন রাখতে চেয়েছিলেন। পেছন থেকে অনেকে হইহুল্লোড় করে যে, কেন শুনানি হবে না।