নরসিংদী সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। গতকাল সকালে দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদেক মিয়া (৪০) অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুরাদনগর গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আবদুল কাইয়ুমের সঙ্গে বর্তমান সভাপতি শাহ আলমের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। ১৮ সেপ্টেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ আলী ও তার লোকজনকে শাহ আলম এলাকায় ফেরান। ওই দিন দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামের এক বিএনপির কর্মী নিহত হন। তিনি আবদুল কাইয়ুমের সমর্থক। ১৯ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের সংঘর্ষে পড়ে ফেরদৌসী বেগম নামের এক নারী নিহত হন। এর পর থেকে আসাদ আলীর সমর্থকরা এলাকায় অবস্থান করছিল। এর জেরে গতকাল সকালে আধিপত্ব বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আবদুল কাইয়ুমের আরেক সমর্থক সাদেক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’