নোয়াখালীতে আদালত ভবনের দোতলা থেকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে হত্যা মামলার এক আসামি পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নোয়াখালী জজ কোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে শুনানি শেষে পুলিশ পাহারায় বেরিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পালানোর চেষ্টা করা হত্যা মামলার আসামির নাম শাহাদাত হোসেন (৩০)। তিনি চাটখিলের বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে শাহাদাত তার পাঁচ বছর বয়সি চাচাতো বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। এরপর লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় চাটখিল থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। গতকাল সকালে নোয়াখালী কারাগারে বন্দি শাহাদাতকে কারাগার থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে আনা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ শাহাদাতকে আসামিদের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতের দোতলা ভবন থেকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আদালত ভবনের ফটক এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী কোর্ট ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার শুনানি শেষে আসামিকে হাজতে নেওয়ার পথে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার পর পরই পুলিশ তাকে ধাওয়া করে আটক করে।