রাজধানীর বাজারে কাঁচাপণ্যের দাম আগের মতোই চড়া। প্রায় দুই মাস আগে থেকে ক্রমে বেড়ে চলা এসব পণ্যের দাম না কমায় অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। ৬০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো সবজি। কাঁচাবাজারে এমন ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে সাধারণ মানুষের কপালে ফেলেছে ভাঁজ। বাজারের এমন উত্তাপে বাধ্য হয়েই অনেকে সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষ কম দামে গোল আলু কিনছে; যার পরিপ্রেক্ষিতে কাঁচাপণ্যের বাজারে ততটা ভিড় নেই ক্রেতার। গতকাল রাজধানীর মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে আগের মতো ক্রেতার ভিড় নেই। যারা বাজার করছেন ১ কেজির বেশি কেউ সবজি কিনছেন না। অনেককে আধা কেজি সবজি কিনতেও দেখা গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে মগবাজারের মোকাররম হোসেন জানান, আগে সপ্তাহে একবার কেনাকাটা করলেও এখন তাঁকে দুই থেকে তিনবার বাজার করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের যে দাম, একসঙ্গে কেনার সাহস হয় না। দুই মাস ধরে জিনিসপত্রের দাম কমবে এমন আশায় আর একসঙ্গে বাজার করি না। কিন্তু দাম কমছে না। বাজারের পরিমাণও আগের চেয়ে কমিয়ে দিয়েছি।’ শান্তিনগর বাজারে গোলবেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১২০-১৩০, লম্বা বেগুন ১০০, ঝিঙা ৮০-১০০, বরবটি ১০০, করলা ১০০, পটোল ৮০, ঢ্যাঁড়শ ৮০, পেঁপে ৩০, শসা ৮০, টম্যাটো ১৪০, গাজর ৮০, চিচিঙ্গা ৬০ ও কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস ৫০-৭০, কচু প্রতি কেজি ৫০, শিম ১৬০-১৮০ এবং মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে পিঁয়াজ কেজি ৭৫-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছের দামও আগের মতো আছে। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের মাঝারি ইলিশ মিলছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকায়, আর জাটকার কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। রুই ও কাতলা ৩৪০-৩৬০, শিং ৪০০-৫০০, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা। পাঙাশ, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প মিলছে ২০০-২৬০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৭৫-১৮৫, সোনালি ২৮০-৩২০ ও দেশি মুরগি ৬৫০-৬৬০ টাকায়। ডিমের দাম বেড়ে ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।