চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৪২৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮ জন। সহসভাপতি (ভিপি) পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী নেই। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জনের মধ্যে একজন নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী তাসনীম জাহান শ্রাবণ, যিনি পদার্থবিদ্যা বিভাগের ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থী। এ প্যানেলটি জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (স্যাড) ও ছাত্র ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠিত। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, বিভিন্ন পদে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও সহসভাপতি পদে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। চবি আইন বিভাগের ¯œাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দীকা কলির মতে, নারী নেতৃত্বে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা প্রায়ই স্লাট শেমিং বা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হন। কোনো নারী যদি সর্বোচ্চ পদে প্রার্থী হতে চান, তখন তাকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, সেখান থেকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায় না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুমানা আক্তার বলেন, চবির ছাত্ররাজনীতিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম।
রাজনৈতিক পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক না থাকায় নারী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করেন। তিনি বলেন, পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীরা কোথায় তা কাজে লাগাবে- এ বিষয়ে অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। এর ফলে পারস্পরিক সম্মানবোধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। নারী শিক্ষার্থীরা এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে, যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের অংশগ্রহণ সীমিত থাকে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, ২৬টি পদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২০টি পদে। বাকি ছয়টি পদে কোনো নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র নেননি। সেগুলো হলো- সহসভাপতি, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং সহযোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক।