রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শাটডাউন কর্মসূচি চলমান রাখা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। আলটিমেটাম দিয়ে শাটডাউন স্থগিত করেছেন কর্মকর্তারা। তবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। এদিকে অবিলম্বে শাটডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শিবির।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সবার কর্তব্য। সংকট থাকবে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানও করতে হবে। শাটডাউনই একমাত্র সমাধান নয়। যে দাবি জানানো হয়েছে, সেটা প্রক্রিয়াধীন।’
জানা গেছে, শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে চতুর্থ দিনেও একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর তারা শাটডাউন স্থগিত করে কাজে ফিরেছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে অনড় বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ড. আবদুল আলিম বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শাটডাউন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়নি।’ চলমান শাটডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিবির। ২৫ সেপ্টেম্বরই নির্বাচনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। শাখা শিবিরের সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘এই শাটডাউন রাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র। একটা গোষ্ঠী পোষ্য কোটার মতো মীমাংসিত ইস্যু পুনরায় প্রতিষ্ঠার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম। অথচ এই জুলুম বাস্তবায়নে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে। তারা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এ ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশন ১৬ অক্টোবর ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। পরদিন এ সুবিধার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের হাতাহাতি হয়। আন্দোলনের মুখে এ সুবিধা স্থগিত করে প্রশাসন। তবে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ১৬ অক্টোবর ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।