চলতি বছরের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যথা কমানো ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নামে ওষুধের ভুয়া প্রচার শুরু হয় ব্যাপকভাবে। বিশ্বাসযোগ্য করতে ওষুধের প্রচারে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের লোগো ব্যবহার, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারকাদের ভুয়া সাক্ষাৎকারও বানানো হয়। এতে প্রতারণার শিকার হন অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। এই সীমাবদ্ধতাকে জয় করেছে দেশের প্রথম এআই চালিত ফ্যাক্ট চেকার ‘খোঁজ’ (www.khoj-bd.com) বাংলা ভাষার প্রথম এবং সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ এআই চালিত ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম এটি। এখানে ফ্যাক্টচেকার কোনো প্রতিষ্ঠান না, ফ্যাক্টচেকার হবেন স্বয়ং ব্যবহারকারী। খোঁজ এর নেপথ্যে রয়েছেন মাহাথির আহমেদ তুষার, সাগর চন্দ্র দে, তানিয়া আক্তার চৈতি এবং আবু কাউসার। প্রতিষ্ঠাতা তুষার এই প্ল্যাটফর্মটির এআই আর্কিটেকচার ডিজাইন করেছেন। সাগর তৈরি করেছেন বাংলা ইন্টারফেস। চৈতি প্ল্যাটফর্মটির তথ্যভান্ডার তৈরি এবং ফ্যাক্টচেকিংয়ের মানোন্নয়নে কাজ করেছেন। ‘খোঁজ’ ধারণার উদ্ভাবন করেন কাউসার।
মাহাথির আহমেদ তুষার বলেন, টেক্সট, ছবি, ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব, সবকিছুর সত্যতা যাচাই করতে খোঁজ হয়ে উঠতে পারে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। যে কেউ এখন গুজব খন করতে পারবে ‘খোঁজ’র মাধ্যমে। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই এআই ঘেঁটে আনবে ঘটনার আসল উৎস, তুলনা করবে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা, আর দেখাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্যাক্টচেক রিপোর্ট। বলে দেবে কী দেখে বিশ্বাসযোগ্য, কোন তথ্য কোথা থেকে এসেছে আর কোথায় সন্দেহ থাকতে পারে।
তুষার আরও বলেন, প্রথমে খবরকে ঘিরে ওয়েব, সোশ্যাল পোস্ট, নিউজ আর্কাইভ এবং মাল্টিমিডিয়া খোঁজা হয়, তারপর সূত্রগুলোর নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা হয়, কনটেক্সট-পাল্লা মিলিয়ে টেক্সট ও ইমেজ বিশ্লেষণ করা হয় এবং সবশেষে সোর্স দেখিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় কোনো তথ্য সত্য, বিভ্রান্তিকর না ভুল।