দেশে চালের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানিসহ ১০ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৮১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বুধবার সচিবালয়ে ক্রয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বাইরে থাকায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে চলতি অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০২-এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ক্রিডেন্ট ওয়ান এফজেসিও’ এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন ৩৫৫.৯৯ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ২১৬ কোটি টাকা। অন্য ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করা হবে জিটুজির আওতায় মিয়ানমার থেকে। ‘মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন’ এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন ৩৭৬.৫০ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি টাকা। ক্রয় কমিটির বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো, রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি টন ৭৩৫.৩৩ ডলার দরে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৬০ কোটি টাকা। প্রতি টন ৩৫৬.২৫ ডলার দরে রাশিয়ার ‘জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন’ (প্রুডিনটর্গ) থেকে পঞ্চম লটে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি টাকা।
এ ছাড়া প্রতি টন ৪১৩.৩৩ ডলার দরে সৌদি আরবের ‘সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি’ থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫১ কোটি টাকা। এর বাইরে বৈঠকে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে বরগুনার একটি সাইটে ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি গোডাউন নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে ‘মেসার্স এমবিএল-আরইএল’। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি টাকা।
মিরসরাইয়ে প্রবেশে অ্যাকসেস রোড নির্মাণ : ক্রয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় চট্টগ্রামের ‘মিরসরাই ২-এ ও ২বি ইজেড’-এ অ্যাকসেস রোড নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ কাজটি পেয়েছে ‘মনিকো লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।