বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর প্রায় ৪ হাজার ২০০ দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও দূষণমুক্ত করার জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনও সম্পন্ন হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কীর্তনখোলা নদী দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি, নৌপথ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দশকের দখল-ভরাটে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বদলে যাওয়া শুধু পরিবেশ নয়, স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকা ও নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ জরিপে ৪ হাজার ১৯২ জন্য অবৈধ দখলদার চিহ্নিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
বিআইডব্লিউটিএর বন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে ১০ কিলোমিটার জরিপ করা হয়েছে। পাশাপাশি পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এ কাজ শেষ হলে সরকার যে নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সিএস ম্যাপ ধরে ৪ হাজারের বেশি অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। কীর্তনখোলা নদী অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করার জন্য একটি প্রকল্প করা হয়েছে। নদীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটা বরাদ্দ পেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনব। পাশাপাশি যারা নদী দূষণ করছে, তাদেরও একটি তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। দূষিত পানি যেন নদীতে না যায়, সেই জন্য কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আইনের যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।