সময়ের সঙ্গে বাড়ছে জীবনযন্ত্রণাও। সম্ভাবনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সমস্যাগুলোর তীব্রতাও। সব সমস্যার একেবারে সমাধান করে ফেলতে না পারলেও তীব্রতাটাকে অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে সঙ্গীর একটুখানি ভালোবাসার পরশ। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়, তো কী হয়েছে? সেক্ষেত্রে রাতটাকেই কাজে লাগাতে পারেন আপনি। সঙ্গী যদি আপনার পাশে থাকলেই হল।
কাজ যখন যন্ত্রণা: সারাদিন অফিস, কেউ ডেস্কে বসে কম্পিউটারে কাজ করে চলেছেন। কেই রাস্তায় ঘুরে, ধুলো কাদা মেখে। বাড়িতে ফিরে শরীরটা কেমন খারাপ লাগছে। গায়ে হাত পায়ে কেমন আড়ষ্ট ভাব। এসবই কিন্তু এক ওষুধে কাটতে পারে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে আনন্দে সময় কাটালেই এক ঝটকায় সব ক্লান্তি হাওয়া হবে।
অনিদ্রা: অনিদ্রার সেরা ওষুধ রাতের আদর। কারণ একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, অনিদ্রার কারণ সঠিক পরিমাণে পরিশ্রম না হওয়া। ঘুমের আগেই শারীরিক মিলনের ফলে, বেশ কিছুটা ক্যালরি ঝরবে আপনার। ফলে সঙ্গে সঙ্গে একটা ক্লান্তি ভাব আসবে। সেই ক্লান্তির চোটেই ঘুম আসবে দ্রুত।
সারাদিন ব্যায়াম না হলে: মেদ ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের চাপে জিমে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না একটুও। রাতে বিছানার ব্যস্ততা আপনার সেই শরীরচর্চার ঘাটতি অনেকটাই কমিয়ে দেবে। অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিতে পারেন, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ৩০ মিনিটের জন্য যৌন মিলনে লিপ্ত হলে, প্রায় ২০৭ ক্যালোরি বার্ন করতে পারেন একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ।
মন ভালো নেই: মানসিক শান্তি আনার জন্য সঠিক যৌন জীবন খুবই দরকারি একটা বিষয়। অফিসে বসের ঝাড় জুটেছে কপালে, অনেক দিন ধরে ছুটি চেয়েও পাচ্ছেন না। কিংবা সহকর্মীরা ক্রমাগত কাজ চাপিয়ে যাচ্ছে আপনার উপর, এড়াতেই পারছেন না সেসব। এই সব কিছুই কিন্তু জীবনযাপনে বিতৃষ্ণা আনে। বাড়িতে ফিরে সেসব তো ভুলে যাওয়া দরকার, নাকি! রাতে বিছানায় শুয়েও যদি মাথায় এত কিছু ঘোরে, তাহলে ঘুম হবে কি করে! বরং সঙ্গীর আদরে দিনের শেষ প্রহরটা কাটিয়ে ফেলুন, দেখবেন মাথা থেকে সব চিন্তা কখন উড়ে গেছে।
ঝগড়া হলে: অফিস থেকে ফিরেই তুমুল ঝগড়া। কারণ যাই হোক, হয়ত আপনারই ভুল, তাই শেষ পর্যন্ত আপনাকেই ঝগড়া থামিয়ে বিষয়টি স্বাভাবিক করতে হবে। রাতে যদি দু’ই বিছানা আলাদা না হয়, তাহলে আদরেই কিন্তু সব বিবাদের সমাধান সম্ভব। অবশ্য, এই কৌশল কতটা কাজ করতে পারে, সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/৪ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা