বাচ্চাদের মস্তিষ্কের উন্নতির হার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও তা যাতে সর্ব্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়, সেদিকটা বাইরে থেকে খেয়াল করা যেতেই পারে। তাহলে এবার জেনে নিন সেইসব পদ্ধতি সম্পর্কে যেগুলি মেনে চললে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি সম্ভব।
*নিয়মিত বাচ্চার শরীরচর্চা করুন:
টিভি দেখার অভ্যাস না করে বাচ্চার মনে ছোট থেকেই শরীরচর্চা করার ইচ্ছা তৈরি করুন। এমনটা করলে দেখবেন আপনার ছোট্ট সোনামনিটা শারীরিক এবং মানসিক, উভয় দিক থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কারণ একথা ভুলে গেলে চলবে না যে মস্তিষ্কের গঠনে শরীরচর্চার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
* অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখুন:
কী পরিবেশে আপনার বাচ্চা বড় হয়ে উঠছে, তা এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বাড়ির পরিবেশ যত সুন্দর এবং হাসি-খুশিতে ভরা থাকবে তত বাচ্চার মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ভালো হবে। এখানেই শেষ নয়, বাচ্চাকে সুন্দর করে বড় করে তুলতে নিরাপদ পরিবেশেরও প্রয়োজন রয়েছে।
* গল্প শোনান:
প্রত্যেক বাচ্চাই গল্প শুনতে ভালোবাসে। তাই দিনের কোনও নির্দিষ্ট সময়ে আপনার বাচ্চাকে সহজ, তবে মজাদার কোনও গল্প পড়ে শোনান। এমনটা করলে তাদের একটা কল্পনা জগৎ তৈরি হবে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি তো করবেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও বাড়াবে।
* বিল্ডিং ব্লকস বা পাজাল খেলা শেখান:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ছোট থেকেই যদি বাচ্চাকে পাজল বা ছোট ছোট টুকরো জুড়ে কোনও কিছু বানানোর খেলায় উৎসাহ করে তোলা যায়, তাহলে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়।
* আঁকতে উৎসাহিত করুন:
বাচ্চাকে আঁকা শেখালে তাদের মস্তিষ্কের উন্নতি খুব দ্রুত হারে হয়। কারণ বাচ্চা যখনই আঁকতে বসে, তখনই তার ভাবনার প্রকাশ ঘটতে শুরু করে, যা ব্রেন অ্যাকটিভিটি বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
* সপ্তাহান্তে বেড়াতে যান:
সপ্তাহের শেষে বাচ্চাকে চিড়িয়াখানা বা মিউজিয়ামে বেড়াতে নিয়ে যান। এমনটা করলে আপনার বাচ্চা অনেক নতুন জিনিসকে চারপাশে দেখতে পাবে, যা তাদের সেইসব সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়াবে। যা প্রকারন্তরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায়তা করবে।
* বাচ্চাকে সামাজিক হতে শেখান:
আপনার বাচ্চা যত সমবয়সিদের সঙ্গে মিশবে, তত তার নানা বিষয়ে জ্ঞান বাড়বে, যা দিনের শেষে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াবে। তাই প্রতিদিন বাচ্চাকে খেলতে পাঠান। খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা জন্মালে দেখবেন আপনার বাচ্চা সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বড় হয়ে উঠছে।
* বাচ্চাকে কোনো বিষয়ে জোর করবেন না:
আপনার পছন্দের কোনো জিনিস যদি আপনার বাচ্চা করতে না চায়, তাহলে তাকে জোর করে সেকাজ করতে বাধ্য করবেন না। উল্টো তার মতামতকে সম্মান করবেন। ভুলে যাবেন না এই বয়সটা তাদের আনন্দ করার সময়। তাই বাচ্চা যত আনন্দে থাকবে, তত দেখবেন তার ব্রেন পাওয়ার বাড়বে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার