ঘন বর্ষার সঙ্গে রোম্যান্সের যোগসূত্র খোঁজেন সবাই। কিন্তু এই বর্ষায় বিপদও কম কিছু নয়। এই মুহূর্তে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে পানি জমে আছে। জমা পানি ভেঙেই এগোতে হচ্ছে অফিসে, স্কুল-কলেজে বা নিজ নিজ কর্মস্থলে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু জিনিস অবশ্যই লক্ষ্য রাখা দরকার। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, এই সময় যে বিষয়গুলোয় নজর দেওয়া দরকার-
১। রাস্তার মাঝ বরাবর থাকে ম্যানহোল। পানির স্রোতে তার ঢাকনা আলগা হয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও তো ঢাকনা থাকেই না। তাই পানি জমা অবস্থায় রাস্তার মাঝ বরাবর না চলাই ভাল। যে কোনও এক ধার ঘেঁষে চলাই বাঞ্ছনীয়।
২। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় ইলেকট্রিকের তার ছিড়ে পড়ে যায় অনেক সময়। ফলে বিদ্যুপৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই আসে। তাই জমা পামি ভেঙে পার হওয়ার সময় এদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
৩। জমা পানি মানে হাজারো জীবাণুর বাসা। জামা কাপড় রক্ষার জন্য আমরা অনেকসময় গুটিয়ে নিই। কিন্তু তাতে চামড়ার বারোটা বাজে। সরাসরি এই জীবাণুদের সংস্পর্ষে আসার দরুন, চর্মরোগের সম্ভাবনা বেশি। তাই জমা পানি ভেঙে ফেরার পরই অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় লোশন দিয়ে ভাল করে হাত-পা ধোয়া আবশ্যক।
৪। পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন বিপজ্জনক প্রাণী ঘরের আনাচে-কানাচে আশ্রয় নিতে পারে। নিরাপদ জায়গা ভেবে এমন জায়গায় থাকতে পারে যে ঘরের বাসিন্দাদের ঘুম ছুটে যেতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে কার্বোলিক অ্যাসিডের ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।
৫। পানি জমে থাকার কারণে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়তে পারে। তাই ব্লিচিং পাউডার বা ফিনাইলের নিয়মিত ব্যবহার একান্ত জরুরি।
৬। এ সময় পানির কারণে পেটের রোগ হতে পারে। তাই পানি ফুটিয়ে খাওয়াই ভাল। তারপরেও পানিতে জীবাণুনাশক কিছু দিলে ভাল হয়। পাশাপাশি হালকা খাবার খাওয়াই ভাল।
৭। এছাড়া সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে এই সময়টা মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জুলাই, ২০১৭/ তাফসীর
