করোনা আবহে ঘরবন্দি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে মোবাইল, ট্যাব ও ল্যাপটপের ব্যবহার। পড়াশোনার কারণে বা কাজের প্রয়োজন ছাড়াও, বিনোদনের পথ খুঁজে ডিভাইসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছেন অল্পবয়সীরা। ফলে তারাই প্যানডেমিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজন ছাড়াও ডিভাইসে অত্যধিক সময় কাটানোয় অবসাদ গ্রাস করছে অল্পবয়সীদের। করোনা আবহে মোবাইল, ল্যাপটপের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কী কী প্রভাব পড়ছে, গোটা বিশ্বজুড়েই এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
সম্প্রতি, আমেরিকার ‘সেন্ট জেমস স্কুল অব মেডিসিন’-এর কয়েকজন চিকিৎসক মিলে একটি সমীক্ষা করেন। এতে দেখা যাচ্ছে, বিনোদনের কারণেই স্ক্রিন টাইম না মেনে ডিভাইসে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন অল্পবয়সীরা। ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সিদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি। এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা যদিও এতটা গুরুতর নয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু অবসাদ নয়, হতাশা, প্যানিক অ্যাটাক, অ্যাংজাইটির শিকার হচ্ছেন তারা। সঙ্গে তীব্র ক্ষতি হচ্ছে চোখের। পাশাপাশি স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্রিন টাইম মেনে ডিভাইস ব্যবহার করলে এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন তারা। বয়স অনুযায়ী দিনে ২ ঘণ্টার বেশি মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে প্রয়োজনের কারণে ব্যবহার করলেও ৪০ মিনিট অন্তর অন্তর বিরতি দেওয়া উচিত। ঘাড়, পিঠ সোজা রেখে তবেই ব্যবহার করা উচিত। তবে নির্দিষ্টভাবে ২৮ এর বেশি বয়সীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর নয় কেন, সেই নিয়েও আগামী দিনে তারা গবেষণা করবেন বলেই জানিয়েছেন। সূত্র: নিউজ মেডিকেল
বিডি প্রতিদিন/কালাম