১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০৬:৪২

১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘাতকরা একই সুতোয় গাঁথা: বাণিজ্যমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি

১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘাতকরা একই সুতোয় গাঁথা: বাণিজ্যমন্ত্রী

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির রকডেলের বনলতা ফাইন ডাইনিং সেন্টারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’র সভাপতি সিরাজুল হক এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পিএস চুন্নু। 

অনুষ্ঠানে জেলহত্যা দিবসের ওপর অতিথিবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’র নেতৃবৃন্দ শহীদ জাতীয় চার নেতার জীবন ও কর্ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সম্মানিত (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং আবু হেনা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান) চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। দেশের প্রতি ছিল তাদের সীমাহীন ভালোবাসা। 

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘাতকরা একই সুতোয় গাঁথা। তারা চেয়েছিল মহান নেতাদের হত্যা করলে তাদের আদর্শও হত্যা করা যাবে। কিন্তু এটা প্রমাণিত হয়েছে মহান আদর্শ কখনও হত্যা করা যায় না। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল হক বলেন, হত্যা করে যে সব সময় মেরে ফেলা যায় না। তার প্রমাণ আজকের এই দিনটি। এই মহান চার নেতার প্রতি আমাদের এই শ্রদ্ধা নিবদেন। 

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান চার নেতার জীবন ও আদর্শ ছিল এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে অটুট। তাদের আত্মত্যাগের মহিমায় জাতি হিসেবে আমরা মহিমান্বিত এবং তাদের আদর্শায়িত পথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক আমরা যেনো তাদের আদর্শ থেকে সরে না যাই। 

ম্যাকুইরি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডক্টর রফিকুল ইসলাম জাতীয় চার নেতার প্রতি সন্মান জানান এবং প্রয়াত জাতীয় নেতা কামরুজ্জামানের পরিবারের সাথে সখ্যতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি এড়াতে পারলে সরকারের উন্নয়ন আরও টেকসই হতো। 

হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় একটি জোয়ার আনতে পেরেছে। চার নেতার হত্যা বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতা এবং স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলাই ছিল এই হত্যার মূল উদ্দেশ্য। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, যুব মহিলা লীগের পারভীন খায়ের। অনুষ্ঠানে শহীদ মহান চার জাতীয় নেতার প্রতি নিরবতার সহিত ১ মিনিট দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো হয়। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান কচি, মোহাম্মদ আলী সিকদার, একেএম হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেউর রহমান খুসবু, এসএম দিদার হোসেন, আইন সম্পাদক রিজভী শাওন, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আশরাফুল আলম লাবু, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার রিপন, আওয়ামী লীগ সিডনি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল কস্তা, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন লাল্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক  মুশফিকুর রহমান, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রোহান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, জুয়েল হাওলাদার, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক বকুল খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ অস্ট্রেলিয়া’র সভাপতি জাকারিয়া আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে বাণিজ্যমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড কনফারেন্স এবং নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য ও রফতানি প্রবৃদ্ধিবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় যোগ দিতে সিডনি পৌঁছান। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর