স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে কোনো ধরণের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং কারসাজি বরদাস্ত করা হবে না। এসব বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে আগে শাস্তি, পরে তদন্ত।
বৃহস্পতিবার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি এবং সরকারের ত্রাণ কার্যক্রমের তদারকি বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এক জরুরি সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে কাজ করছেন। করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলেও সরকারের খাদ্য ও ত্রাণ তৎপরতায় কোন ঘাটতি হবে না। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতা, সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিতকরণ এবং জনসমাগম পরিহারের বিকল্প নেই। বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রীর গ্রামের বাড়িতে এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম (বিপিএম), মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম এবং বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
একইদিন বিকেলে মন্ত্রীর লাকসামের বাসভবনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস ভূঁইয়া, নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সাইফুল আলম, পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজালা রানী চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা, পৌর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, পৌর প্যানেল মেয়র-১ বাহার উদ্দিন বাহার, প্যানেল মেয়র-২ আবদুল আলিম দিদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক