কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধান ক্রয় কার্যক্রমে কোনো ধরণের অনিয়ম হবে না। কোনো মধ্যসত্বভোগী আসবে না। আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের একটা তালিকা করে দিয়েছি। তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে লটারীর হবে। সেই লটারীতে কেউ প্রভাব ফেলতে পারবে না। ডিসি, ইউএনও, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। এ ফসলের মাধ্যমে ২২টি জেলা থেকে ধান কেনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ৮ লাখ মে.টন সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে। কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রয় করে লাভবান হবে।
সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় ২৫ হাজার ৮৬৬ মে.টন ধান ক্রয় করবে সরকার।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় লালপুর এলাকায় স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকে ধানক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে প্রায় ৭৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ২৫৮৬৬ মে.টন ধান, ১৪৬৮৭ মেট্রিক টন সিদ্ধ চান এবং ১৪৩০৯টন আতপ চাল ক্রয় করবে সরকার।
সুনামগঞ্জে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী ধান ক্রয়ের পরিমাণ অপ্রতুল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে ক্রয় চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বিরোধী দলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মহিলা সংসদ সদস্য শামিমা শাহরিয়া, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, জেলা কৃষি সম্প্রশারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সফর আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছমিন নাহার রুমা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত