শিরোনাম
২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:২৫

আমি বলছি না বিমানে দুর্নীতি নেই: প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমি বলছি না বিমানে দুর্নীতি নেই: প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ‘বাংলাদেশ ট্র্যাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাসের আগে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে বলেছেন, আমি বলছি না (বিমানে) দুর্নীতি নেই। সীমিত আকারে আছে। যে জড়িত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। মন্ত্রণালয় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। জিডিএস সিস্টেম, টিকিট না পাওয়া এগুলো ছিল। আমরা তদন্ত করেছি। কিছু স্টেপ নিয়েছি, যাতে কোনো সমস্যা না হয়। টিকেটিং সিস্টেমে যাতে সমস্যা না হয়। ট্র্যাভেল এজেন্সি, এয়ারলাইন্সগুলোর অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত করোনাভাইরাসে। অনেক সঙ্কটের মধ্যে চলছে। এখন কেউ বলতে পারবে না টিকিট নেই। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এজেন্সি ও ভোক্তা-উভয়ের স্বার্থে এ বিল আনা হয়েছে। 

সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের একাদশ তথা শীতকালীন অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি। 

এর আগে আলোচিত বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এমপিরা বিমানের টিকিটসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন। 

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিমানের ইতিহাস সুখকর নয়। বেশিরভাগ সময় এটি লস করেছে। লাভ করেছে কম সময়ে। বিমানের ম্যানেজমেন্টের দুর্বলার কারণে লাভ করা মুশকিল। যারা এজেন্ট তারা টিকিট বিক্রি টাকা দেয় না। এজেন্টরা কারসাজি করে। টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু সিট ফাঁকা থাকে। এর জন্য কী করবেন?

বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, সনদ বাতিল না করে শুধু অর্থদণ্ড দেওয়ার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। ৫৩ থেকে ১০০টি কোম্পানি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজেন্সিগুলো নিজেরা ক্রেতা সেজে টিকিট বুক করে রাখে। এতে ক্ষতি হয় বিমানের। যে এজেন্সিগুলোর কথা বলা হচ্ছে। সেগুলোর নিয়ন্ত্রক মন্ত্রণালয়। অদক্ষ ব্যবস্থপনার জন্য বিমান লসে। আড়াই হাজার কোটি টাকা দেনা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে। 
উড়োজাহাজ কেনা, ইজারা দেওয়া, ফুড ক্যাটারিংয়ে অনিয়ম হয়। এজেন্সি, জিডিএস সিন্ডিকেট বহাল আছে। 

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর