স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করা মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে বিরোধিতা করা। এই বিরোধিতাকারীদের কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।প্রার্থী সিলেকশন হওয়ার পর কোনো ধরনের বিরোধিতা করা যাবে না।’
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় গড়পাড়া শুভ্রসেন্টারে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ আমরা নই। আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা বিরোধিরা। এই বিরোধী শক্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো দেশে করোনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। সারাদেশে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। করোনা ঝুঁকি বাড়ে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণ না হলে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যাবে। লেখাপড়া, স্বাস্থ্যসেবাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার একবারেই কমে এসেছে। আমেরিকা দুই হাজার, রাশিয়া ১২ থেকে ১৩শ, ইউরোপে চার থেকে পাঁচশ ও ভারত দুই থেকে তিনশজন প্রতিদিন করোনায় মারা যাচ্ছেন। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ