যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এ সেতুর মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ১.২৩ % জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্র্য হ্রাস পাবে ০.৮৪%। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এসব জেলায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে ওঠছে। এ অঞ্চলে বিশ্বমানের অলিম্পিক ভিলেজসহ স্পোর্টস সিটি, বেনারসি তাতপল্লী, আইকন টাওয়ার, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিসহ বড় বড় প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এতে সৃষ্টি হবে এ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান।
আজ দুপুরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুন্সীগঞ্জে ৩ হাজার ১২৪ জনকে প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন ট্রেডে সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া ৫ জনকে নগদ ৩৭ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় দুই ধাপে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে ১২টি ট্রেডে আধুনিক ও সময়োপযোগী নানা প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এ সকল মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসূল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন পরিচালক (প্রশিক্ষন) খন্দকার মো. রুহুল আমিন ও পদ্মা বহু মূখী নির্মান প্রকল্প নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রজব আলী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল