স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা একান্ত প্রয়োজন এবং প্রত্যেকের স্বক্রিয় অংশগ্রহণ এসডিজি অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘জন শুনানি, জাতীয় উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম জানান, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নয়ন করতে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি হাসপাতাল কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যা পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে। সমালোচনা করার সুযোগ থাকলেও এই সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল দেশ।
তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দেশের সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছেছে। এখনো আমাদের উৎপাদনের ১ শতাংশও কয়লা ভিত্তিক না। মিশ্র জ্বালানি না হলে ভবিষ্যতে যে কোনো প্রতিকুলতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই নিউক্লিয়ার, কয়লা, তরল জ্বালানি গ্যাস ও আমদানিকৃত গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ(সিপিডি)’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাকের সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশীদ।
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক